আর্টিকালডিজি, ডিজিটাল নির্দেশিকা, আপনার যদি একটি স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ থাকে, তাহলে আপনি "ডিজিটাল মার্কেটিং, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং, ব্লগিং, ফাইভার নেটওয়ার্ক, ফেসবুক মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতো এই রুটগুলি অবলম্বন করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। তারপর এখানে উপলব্ধ বিস্তারিত এবং আরও তথ্যের জন্য যেতে ক্লিক করুন.

My Blog List

how to change nation

Written By DIGITAL GUIDELINE on December 27, 2021 | December 27, 2021

I have written A famous bangla poem  how to change nation.is bangla 



নাকি জামানা বদলেছে

আজও কিশোর কন্ঠে গাণ শেখে নতুন প্রজন্ম ।

আজও ধুতি পরা লোকটা দেবতার গান গায় হরে রামো রামো। রবীন্দ্রনাথের কবিতা দিয়েই পড়া ঘরের শুরু 

আজও বলে না কেউ বিদ্যালয় স্যার  বলে বলেনা গুরু।

কারন  উর্ত্তীন্ন করতে চাই সমাজকে 

আজও সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে

 এখনো গ্রামে ঘোড়া গাড়ি নিয়ে ছুটে।

 আজও তারা গুলো সেই আকাশে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে 

আজও মুসলিম চাঁদ দেখে ঈদ পড়ে।

 চন্দ্র মাসের হিসেবে হিন্দু এখনো পূজা করে 

আজও ধর্ম তেমনি রয়েছে।  to change nation.is bangla 

Real story একটি প্রবন্ধ (বাস্তব)

Written By DIGITAL GUIDELINE on December 26, 2021 | December 26, 2021

                          Real story very real I wish you read and share this story                  বাস্তব



সাহিত্য মানুষকে নিয়ে চলেছে অজানা এক  দিগন্তে । কখনোই বলতে চাইবোনা কোকিলের ডাকে মন হারানোর  কথা। বলবো না  স্নিগ্ধ বিকেলে মৃদু বাতাসে মন মাতানোর  কথা। বলতে চাইব চরম বাস্তব।

সেদিন 27 শে পৌষ  সন্ধ্যে ছয়টার  সময় কলকাতা টু ডোমকল্ বাস  সাত ঘণ্টার ব্যবধানে গ্রামের  বাসস্ট্যান্ডে নামলাম । গ্রামের  নাম চন্দনপুর তখন  ঘড়িতে ঠিক  একটা বাজে। কেমন  যেন একটা হালকা কান্নার  সুর মোবাইলে অনেক  রকম শুরে গান শুনতে শুনতে যাত্রা শেষ  করলাম  । এ আবার  কেমন শুর এই অর্ধেক রাত্রে একাকী বাসস্ট্যান্ডে দোকানপাট বন্ধ গায়ে কাটা দিয়ে উঠলো ‌। এ আবার  কেমন মৃদু মৃদু কান্নার আওয়াজ। হঠাৎ  চোখে পড়ল  একটি মেয়ে বয়স  ত্রিশ  বত্রিশ  হবে। আস্তে আস্তে কাছে গেলাম ভয় একটু হচ্ছিল  তার শাড়ির অর্ধেকটাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে আর  মাথার চুল গুলো মনে হয়  বছর চারেক চিরুনির মুখ  দেখেনি গায়ে কালচে কালচে দাগ । আতপ চালের মতো ফর্সা দেহে অন্ধকারেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম কে তুমি? কণ্ঠস্বর শুনে বলে উঠলো সেলিম ভাই, বলেই পায়ে লুটিয়ে পড়ল !একি করছো? ব্যাপারটা খুলে বল মোবাইলের লাইট টা দিয়ে তারমানে জ্বালিয়ে তার বাহু দুটি ধরে তুলে দেখি একি এতো আম্বিকা এত অজ্ঞান ,পাশের পাশের ব্রাহ্মণপাড়ায় বাড়ি । আমরা তো একসঙ্গে স্কুলে পড়তাম। ব্যাগের  ভেতর বোতলে জল আছে। অম্বিকার মুখে জল ছিটিয়ে দিতে আবার জ্ঞান ফিরে পেল জিজ্ঞেস করলাম তুমি এখানে এ অবস্থায় কেন? সে বলল আমার আট বছর হলো বিয়ে হয়েছে। আমি বললাম আরে বিয়ে তো প্রত্যেকেরই হয় কিন্তু এ অবস্থায় কেন? অম্বিকা বলল এ 8 বছরে কোন সন্তান হয়নি বলে তাই। সেলিম অর্থাৎ আমি বললাম আরে সন্তান তো উপরওয়ালার দান তাই বলে এইভাবে। অম্বিকা বলে উঠলো সেলিম ভাই ঐসব বাদ দাও ভগবানের লিখন তুমি কি বদলাতে পারবে বল। সেলিম আল্লাহ ভগবান সব এক ঈশ্বর একজন এব্যাপারে তোমাকে আঘাত করা মানে কি নাকে আঘাত করা এদের কি জ্ঞান বুদ্ধি হবে না। অম্বিকা কি তার পিতামহের বাড়ি পৌঁছে দিলাম। অম্বিকার বাবা খুব দরিদ্র নাম উদয় চক্রবর্তী মায়ের নাম নিবেদিতা চক্রবর্তী সেলিম পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারল অম্বিকা কে তার শাশুড়ি জয়া তাকে কাজ বিষ অর্থাৎ ইঁদুর মারা বিষ ভাতের সঙ্গে মিশে খাইয়ে দিয়েছিলো ।এক বছর পর অম্বিকা মারা যায়। একই রকম একই রকম চাপা শুর সেলিমের কানে গুজে কেউ শুনতে পায়না। কিন্তু ঘরে ঘরে বইছে বাতাস এই কান্না এই শুর কবে থামবে এই শুর এই বাতাস কবে ?
কবে?
কবে ?কবে ? কবে?
ইতি মোঃ আসাদুল ইসলাম

একটি সুন্দর জীবনমুখি প্রবন্ধ গল্প

Written By DIGITAL GUIDELINE on December 22, 2021 | December 22, 2021

 একটি সুন্দর জীবনমুখি প্রবন্ধ গল্প পতীকের ছেলেবেলা লেখক তার নিজের জীবনকে উপলব্ধি করে এই প্রবন্ধটি লিখেছেন । প্রবন্ধটি অবশ্যই আপনাদের কাছে ভালো লাগবে । এই প্রবন্ধের প্রতীক লেখক নিজেই এবং ব্লগার নিজেই গল্পটি অবশ্যই পড়বেন





একদিন বিকেল বেলা সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে ।ঠিক এমন সময় একটা খাতার পৃষ্ঠা হালকা বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে আমার পায়ের কাছে এসে থেমে গেল । বড় বড় অক্ষরে লেখা একটি শব্দ শৈশব । আমার মনে ভীষণভাবে নাড়া দিয়ে উঠলো দেখি কি লেখা আছে    একটি সুন্দর জীবনমুখি প্রবন্ধ  । 

তখন তেমন বুদ্ধি হয়নি আমার, মা পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন, আর শুরু হলো আমার ভয়াবহ দিন। আমরা ছয় ভাই বোন 4 ভাই 2 বোন । দিদিরা বড় কাজেই তাদের বিয়ে হয়ে রীতিমতো সংসার হয়ে গেছে । বড় দাদা উদয় এক বছর বাদে বিয়ে করে সংসার করল । আর মেজদা বিমল ড্রাইভারি শেখার উদ্দেশ্যে ট্রাকের হেলপারি আরম্ভ করলো।

 এসময় আমার বয়স 9 -10 এর ভেতর হবে গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে পড়া শেষ হলো ।হাই স্কুলে ভর্তি হয়, এদিকে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন ,যতদিন না তাদের ছেলে মেয়ে হয়েছিল, ততদিন বেশ ভালোবাসতেন যেই ভাই বোন হয়েছে -অমনি শুরু হয়ে গেল দুর্দশার দিন । এতে আমার ভাই বোনদের দোষ দেব না কারণ সবকিছু তাঁর ইচ্ছা জিনি সবকিছুর মালিক।

 এত কষ্ট পেয়েছি যে কষ্টের দিনগুসোর কথা লেখা সময় চোখের জল কোনমতেই থামাতে পারলাম না। হাত দটো থর থর করে কাঁপতে আছে অঝরে চোখের জল অঝরে ঝরে চলেছে ,গায়ের লোমগুলো কাঁটা দিয়ে উঠেছে । 

যখন আট বছর বয়স, তখন মাঠে যেতাম গম কুড়াতে যখন চাষিরা জমি থেকে পাকা গমের শীষ গুলো কেটে নিত, তোলা ঝাঁপি করতে গিয়ে কিছু কিছু গমের শীষ এড়িয়ে থাকতো । ওই গুলি কুড়িয়ে কুড়িয়ে রাখতাম যেদিন অনেকগুলো হত লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গমের বীজ গুলো বার করতাম ।এমনি করে বাচপাট রাইশষ্য এসব কুড়িয়ে কুড়িয়ে বিক্রি করতাম আর যে টাকা গুলো পেতাম আমার বড় মায়ের হাতে জমা রাখতাম।

আর যখন প্রয়োজন হত ,খাতা পেন কেনার জন্য তখন চেয়ে নিতাম । তখন অনেকেই একসঙ্গে স্কুলে পড়তাম যখন অন্যান্য ছেলেরা আইসক্রিম, জালমুড়ি, চকলেট, কত কি খাচ্ছে আমি তখন ক্লাসে গিয়ে বই এর ভেতর মাথা গুঁজে দিয়ে পড়তেই থাকতাম। পড়াশোনায় মন্দ ছিলাম না ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ফোর পর্যন্ত ফার্স্ট বয় ছিলাম চার থেকে বেরিয়ে হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছি সেও 80 টাকা ভর্তি ফি কোন কষ্টে যোগান দিয়েছি তা উপরওয়ালা তিনি ভালো জানেন যাই হোক ক্লাস ফাইব থেকে ক্লাস 6 এ সেকেন্ড হয়েছি ।এদিকে বাড়িতে আমার সেই সৎ মা সৎ মা হলেও সে-ও তো মা কিন্তু এত দুর্দশা করেছে যে সে আর কি বলব স্কুল যাবার সময় উনুনে ভাত বসাতেন আর আর স্কুল থেকে ফেরার পর দেখতাম ভাত ফুরিয়ে গেছে ।প্রথম প্রথম খুব কান্না পেতো। ধীরে ধীরে এসব সহ্য হয়ে গেল।
 কি করতাম কান্না শোনার মত তো আর কেউ নেই। গর্ভধারিনী মা যে নেই, কে বলবে খেয়ে নে খাবি আয় খুব মনে পরতো মায়ের কথা । খিদের দাপটে যখন সহ্য করতে না পারতাম পাড়া-প্রতিবেশী চাচি খালার কাছে যেতাম । ভিখারির মত চায়তাম চাচি চারটে ভাত দাও না সারাদিন কিচ্ছু খাইনি ,এমনি করে কতদিন গেছে। খাওয়া নিয়ে আমার বড় দাদা আমার প্রতি মায়া করে বাবাকে কিছু বলতে গিয়ে দাদাকেও শুনিয়ে দিল "তোর ভাই তুই নিয়ে যা" কারো কাছে গেলাম না । শুনে ছিলাম মাদ্রাসায় ফ্রী পড়াশোনা ও থাকা-খাওয়া পাওয়া যাযায়।তাই একাই মাদ্রাসায় ভর্তি হলাম কিন্তু বিনা খরচে যে ডেড বডি ও পোড়ানো যায় না *

তাই আর পড়াশোনা হল না ।শুরু করলাম হেল্পরি করতে কলকাতায় গিয়ে একটি গুল ফ্যাক্টরি তে কাজ পেলাম ।প্রতিদিন 40 টাকা বেতন, সারাদিন খালি পেটে কাজ করে সন্ধ্যেবেলা টাকা নিয়ে চাল ডাল সবজি কিনে রান্না করে খেয়েছিলাম এতো সুখের তৃপ্তি সেদিন পেয়েছিলাম আনন্দে চোখের জল বাগ মানলোনা মনে হয় সমস্ত সাগরের জল চোখে লুকানো ছিল ।সমস্ত ছেলেবেলাটা এক ঝলকে সিনেমার পর্দার মতো চোখের সামনে ভাসছে পাতের ভাত পাতেই রইলো সেদিন পেট ভরে গেছে ।


এই তৃপ্তি বোঝাবো কেমনে 
আছিলাম কত সুখে ।
আসমান ছিড়ে খেয়ে নিতাম 
মিলতো যদি সেই ভুকে ।
না থাকার চেয়ে ছেঁড়া কাঁথা আছে 
শুয়ে আছি বড় সুখে 
তাই হাসি সুখে।।

Translate

Featured Post

পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য

আল্লাহু বলেন বিবেকবানরা চিন্তা করে ।। সুতরাং আধুনিক টেকনোলজি এগুলো চিন্তার ফসল।। অনুরূপভাবে একদিন ঘুম থেকে ফ্রেশ মোডে ওঠে মাথায় চিন্তা আসে...

 
Support : download template | read more |
Copyright © 2011. Digital guideline ডিজিটাল নির্দেশিকা - All Rights Reserved
Template Modify by Md Asadul Islam
Proudly powered by editor