Translate

পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য

 পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য


🌍 পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য: কুরআনের আলোকে আধুনিক বিজ্ঞান

আল্লাহ বলেন, "তারা কি চিন্তা করে না?" (সূরা আলে ইমরান: ১৯১)। চিন্তা ও গবেষণা একটি মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আজকের আধুনিক প্রযুক্তি—কম্পিউটার, রকেট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—সবই মানুষের চিন্তার ফল।

বিগ ব্যাং ও সৃষ্টি

আমরা যখন কুরআনের আয়াতগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ি, তখন অনেক রহস্যময় তথ্য সামনে আসে, যেগুলো আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে মেলানো যায় আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখা যায়।
আল্লাহু বলেন বিবেকবানরা চিন্তা করে ।।
একদিকে আল্লাহু বলেন কোরআন তেলাওয়াত শুনতে শুনতে হাজার হাজার বছর কেটে যাবে।
আরো বলেন কেয়ামতের মাঠ হাজার হাজার বছর সময়ের হিসাব নিকাশ বিভিন্ন বর্ণনায় ৫০০ বছর হাজার বছর কখনো বলা হয়েছে পরিষদের সাঁকো পার হতে দেড় হাজার বছর অনুরূপভাবে অনেক সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এখান থেকে কিছু প্রশ্নের উদ্ভব
যা আধুনিক বিজ্ঞান এবং জিওগ্রাফি এর বর্ণনায় তারতম্য যা ভারসাম্যহীন। এখন এগুলো মেলানোর পালা।
/বিজ্ঞান বলে

💥 বিগ ব্যাং ও সৃষ্টি

বিজ্ঞান বলে, "বিগ ব্যাং"-এর মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল। বিস্ফোরণের পর ধীরে ধীরে গঠিত হয় গ্রহ-নক্ষত্র।
কিন্তু কুরআন বলছে:

“তিনি বললেন, ‘আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী একসাথে ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম।” (সূরা আম্বিয়া: ৩০)

এই আয়াতটি অনেকটা বিগ ব্যাং তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও, এখানে আল্লাহর ইচ্ছা ও পরিকল্পন স্পষ্ট

সৃষ্টির শুরুতে শুধু মাত্র পানি ছিল এখান থেকে জমিন এবং আসমান এ. আপন আপন কক্ষপথে চলাচল করে/
কোরআন একটু ভিন্নতা রাখে কোরআন বলে সমস্ত গ্রহ নক্ষত্র এমনকি সূর্য আপনার ফোন কক্ষপথে বিচরণ করে এখান থেকে চিন্তার বিষয় একটা এসে যায় এবং প্রশ্ন ভেসে ওঠে/তাহলে আল্লাহ যে বলেন আমি পাহাড়কে পেরেকের নাই মাঠের সমতল পর্যন্ত হতে রেখেছি যাতে পৃথিবী নড়াচড়া করতে না পারে।
অন্যদিকে আরো প্রশ্ন জেগে ওঠে পৃথিবীর বাইরের সময় ও পৃথিবীর মধ্যেকার সময় তাহলে কি এক নয়। হয়তো হতে পারে অন্যান্য বলয় যেখানে গেলে এক মিনিটের সমান পৃথিবীর হাজার হাজার বছর।

এখান থেকে কিছু প্রশ্নের উদ্ভব
যা আধুনিক বিজ্ঞান এবং জিওগ্রাফি এর বর্ণনায় তারতম্য যা ভারসাম্যহীন। এখন এগুলো মেলানোর পালা।
/বিজ্ঞান বলে

🕰️ সময়ের আপেক্ষিকতা

কুরআনে একাধিক স্থানে বলা হয়েছে, কেয়ামতের ময়দান হবে সহস্র বছর দীর্ঘ, এবং পরিষদের সাঁকো পার হতে সময় লাগবে দেড় হাজার বছর।

"তোমাদের একদিন, তোমাদের হিসেব মতে হাজার বছরের সমান।" (সূরা হজ্জ: ৪৭)

বিজ্ঞানও বলে, মহাকাশের বাইরে বা কৃষ্ণগহ্বরে সময়ের ধারা ভিন্ন। সময়ের এই আপেক্ষিকতা কুরআনের বর্ণনার সঙ্গে মিল খায়।

🌄 পাহাড় পেরেকের মতো

আল্লাহ বলেন:

“আমি পাহাড়কে করেছি পৃথিবীর জন্য পেরেকস্বরূপ।” (সূরা নাবা: ৬-৭)

আধুনিক ভূতত্ত্বে জানা যায়, টেকটোনিক প্লেটকে স্থিতিশীল রাখতে পাহাড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

☀️ সূর্য ও নক্ষত্রের গতি

বিজ্ঞান বলে সূর্য স্থির, আর গ্রহগুলো তাকে প্রদক্ষিণ করে। কিন্তু কুরআন বলে:

“সূর্য আপন কক্ষপথে বিচরণ করছে।” (সূরা ইয়াসিন: ৩৮)

আজকের জ্যোতির্বিজ্ঞানও বলছে, সূর্য গ্যালাক্সির কেন্দ্রীয় কক্ষপথে ঘুরছে।


📌 উপসংহার

কুরআন এবং আধুনিক বিজ্ঞান উভয়ই জ্ঞানের আলোকধারা। পার্থক্য তখনই হয় যখন আমরা শুধুমাত্র এক চোখে দেখি। কুরআন আমাদের চিন্তার আহ্বান জানায়, যাতে আমরা গবেষণা করি, যুক্তির সঙ্গে বুঝি এবং স্রষ্টার মহত্ব উপলব্ধি করি।




Share This Post →

কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

Digital-information-available-here.

  Digital guideline Digital-information আর্টিকালডিজি , ডিজিটাল নির্দেশিকা , আপনার যদি একটি স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ থাকে , তাহলে আপনি ...

Comments system

ArticalDG /News DG একটি সমৃদ্ধ বাংলা ব্লগ যেখানে বিশ্লেষণধর্মী আর শিক্ষামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। প্রযুক্তি, ডিজিটাল গাইডলাইন, ইথিক্যাল হ্যাকিং, ব্যবসা বিশ্লেষণ, প্রেমের গল্প থেকে শুরু করে বর্তমান সমাজ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি নিয়ে সবার জন্য তথ্যভিত্তিক লেখা রয়েছে। লেখক Md. Asadul Islam এর লেখাগুলো সহজ ভাষায় জটিল বিষয়কে স্পষ্ট করে তুলে ধরে। জ্ঞান পিপাসু ছাত্র, পেশাজীবী ও সাধারণ পাঠক এই ব্লগ থেকে পাবেন নতুন ধারণা, অনুপ্রেরণা ও দক্ষতা বৃদ্ধির পথনির্দেশ। নিয়মিত আপডেট হওয়া এই ব্লগ.

Powered By Blogger |   Design By Md Asadul . islam
NEWS-DG