Translate

এযুগের গল্প প্রবন্ধ storise

এযুগের গল্প প্রবন্ধ
 বিধি হতে বিধান মোঃ আসাদুল ইসলাম এর লেখা বিধির বিধান ।প্রস্তাবটি বর্তমান ভারতবর্ষের তথা সমস্ত ধর্মের মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। বইটিতে বিশেষত হিন্দু ও মুসলিম ধর্মীয় উদ্ধৃতি থাকলেও এটি বর্তমান অবস্থার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে ।সমস্ত পাঠকের কাছে আবেদন ,এই বইটি নির্ভুলভাবে পড়ুন ও পড়ান ।

একটি কথা না বললেই নয় ,আমরা দেশকে স্বাধীন বলে মনে করি ,কিন্তু ইংরেজি আনা ষোলআনা পুষে রেখেছি। ইংরেজদের নকল করে চলাই হয়ে উঠেছে আমাদের একমাত্র জীবনের সাধনা। তাইতো কবি বলেছেন==

 স্বাধীনতা পেয়েছি পেয়েছি পতাকা 

পেয়েছি ওড়ানোর লাঠি ।

পাইনি শুধু বাঙালি হয়েও

 শান্তির চাবিকাঠি ।।

বিশেষত ইসলামী পন্থা প্রায় 14 বছর আগে থেকেই আধ্যাত্মিক দিকে এগিয়ে আছে। এবং সনাতন ধর্ম অবলম্বী হিন্দুস্থানের হিন্দুদের ও আধ্যাত্মিক দিকে যথেষ্ট প্রকট। সমস্ত পৃথিবীর আধ্যাত্মিকতার প্রায় সকলেরই পথনির্দেশক হল বিধির বিধান অর্থাৎ ধর্মগ্রন্থ


এযুগের গল্প প্রবন্ধ

 থেকে অন্যান্য দেশ গুলি এগিয়ে থাকলেও তারা শান্তিতে নেই ।পাশ্চাত্য দেশগুলোর সর্বদা দেখতে পাই, যুদ্ধ বিগ্রহ ড্রাগস আত্মহত্যা এইরকম ধরনের খবর প্রায় প্রত্যেক দিন শুনতে পায় ।

 আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ ,এদেশে এখনো পর্যন্ত যান্ত্রিক ব্যবহারের চেয়ে মানুষের ব্যবহার অনেক বেশি। দেশ রক্ষার জন্য মানুষের প্রয়োজন, চাষবাস করতে মানুষের প্রয়োজন ,ঘরবাড়ি কল-কারখানা তৈরিতে শ্রমিক লেবার অর্থাৎ মানুষের প্রয়োজন, সেতু তৈরি সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ এর জন্য মানুষের প্রয়োজন। মানুষ সব জায়গায় কর্মচারী সরকারি কর্মচারী এইভাবে সবসময়ের জন্যই মানুষ এই কাজ করে থাকে । মানুষ মানুষের জন্যই কাজ করে । যন্ত্র মানুষের চাহিদা কিছুটা মেটালেও মানুষ যেগুলো করে সেগুলো শুধু মানুষই করে ।

পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে মানুষ কমে গেলে রক্ষাণাবেক্ষণ পরিচালনার অভাব পড়বে।

 আপনাদের কাছে প্রশ্ন করি, আপনি যদি একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান নেন ,তবে কি আপনার ছেলেকে  ক্ষেত মজুরের কাজ করাতে চাইবেন, নাকি নাকি আপনার মেয়েকে সেনায় ভর্তি করাতে চাইবেন।

প্রত্যেক বাবা-মায়ে চাইবেন তাদের নিজের ছেলেদের ভালো শিক্ষিত হয়ে  উচ্চমানের চাকরি পাইয়ে দিতে। বিশেষ করে পরিবার পরিকল্পনা অজুহাত দেখিয়ে যেভাবে কন্যাভ্রূণ নষ্ট হচ্ছে তাতে শিক্ষিত সমাজ চরম বিপদে দাঁড়াবে। এটা বিস্তর লজ্জাজনক ।একটু ভেবে দেখা উচিত মাতৃ জাতিকে এইভাবে বিনাশ করা কত বড় পাপ ।আল্লাহ এবং আল্লাহর বাণী এককথায় বিধির বিধান যাকে আমরা প্রকৃতির নিয়ম বলেও জানিয় । 

এই প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী জীবের জন্ম মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ হয়ে চলেছে ।এতে মানুষের কোন হাত নেই ।আল্লাহর নিয়মের আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী হালাল মাংসাশী প্রাণী ছাড়া জবে হো ছাড়া হত্যা করা যেমন সবার অধিকার এর বাইরে। তেমনি জন্ম অবরোধ করা অধিকারের বাইরে। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী জন্ম এবং মৃত্যু এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সৃষ্টির শুরু থেকেই তাঁর নিয়ন্ত্রণে এতে মানুষের কোন হাত নেই মানুষ এগুলো করতে পারে না মানুষ এগুলো করার চেষ্টা করা মানে আল্লাহর স্বয়ং যে কাজ ,তাতে হস্তক্ষেপ করা ,যা কখনোই সম্ভব নয়। কেউ পারবে না। সূর্য উদয় করে দিতে কেউ পারবে না। চন্দ্র উদয় করে দিতেন ।কেউ পারবে না  প্রবল বেগে ঝড় কে নিয়ন্ত্রণে আনতে। কেউ পারবেনা জন্ম নিয়ন্ত্রণে রাখতে। এগুলো মানুষ সহজ মনে করে নিজে হস্তক্ষেপ করতে যায়। যা সাধ্য নয় সম্ভব নয়।এগুলো মানুষের কল্পনা মাত্র।।

বিশেষ ভবে লক্ষ্য করুন

 কুকুর বিড়াল বিশেষ করে লক্ষ্য করুন কুকুর বিড়াল  8 থেকে 10 বছর 15 বছর বাচে। এর মধ্যে তার জীবন দশায় 20 থেকে 30 টা বাচ্চা দেয় ।কিন্তু কোনদিনও কুকুর বিড়াল এদের দ্বারা কি পৃথিবী ভর্তি হয়ে যায় না।

এটা আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে কোন্ প্রজাতি দিয়ে পৃথিবীর টিকিয়ে রাখবে না রাখবে তার তিনার  নিয়ন্ত্রণে ,এতে মানুষের কোন অধিকার নেই ।

আপনি যে ধর্ম অবলম্বী হোন না কেন মুসলিম ,হিন্দু ,খ্রিস্টান ইহুদি ।কৃত্রিমভাবে জন্মরোধ করা  ধর্মবিরুদ্ধ এবং নীতিবিরুদ্ধ এর জন্য পরকালে ভীষণ শাস্তি পেতে হবে ।আল্লাহর প্রদত্ত উৎপাদন শক্তি নষ্ট করা মহা বিনাশ কারক ।

সমস্ত জীবের শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ তাই মানুষের জন্য অবরোধ করলে উন্নতি হবে কিভাবে কোথায় মিলবে হাক্কানী হাফেজ হাক্কানী আলেম কে শেখাবে নীতি-নৈতিকতা কোথায় মিলবে দার্শনিক বৈজ্ঞানিক বিচারপতি বিচারক আইনজীবী যাদের পৃথিবীতে আসতে দেওয়া হলো না তাদের মধ্যে কি এইরকম মহান ব্যক্তিত্ব লুকিয়ে থাকতে পারত না ।

 এদিকে দেশকে উন্নত করার চেষ্টা উন্নত করতে চাই। যথাসাধ্য চেষ্টা আমরা করে চলেছি । অন্যদিকে যে মানুষের দাঁরা উন্নতি করা সম্ভব উন্নত করা সম্ভব সেই মানুষ সেই ব্যক্তিত্বই আসা বন্ধ করে দিয়েছি। ঘরের কর্তায় যদি না থাকে, গৃহ কে নির্মাণ করবে কে নিয়ন্ত্রণ করবে বোকা মানুষ সোজা বাংলাটা বুঝলি করবে । মানুষ যেখানে বেশি হবে সেখানে শহর তৈরি হবে। মানুষ যেখানে বেশি হবে।  সেখানে বন্দর তৈরি হবে । সেখানে কল কারখানা তৈরি হবে। সেখানে আমদানি হবে রপ্তানি হবে করবে কর্মক্ষেত্র বাড়বে আরো আরো মানুষের ওই প্রয়োজন হবে ।একটা দুটো সন্তান নিয়ে জন্ম অবরোধ করলে উন্নত কি দিয়ে করবে। যারা গ্রামবাংলায় বাস করে তারা কেন শহরে ছুটে যায় কাজের জন্য। কেন গ্রামে সারাবছর কাজ মেলে না?. এ প্রশ্ন জন্মনিয়ন্ত্রণ কারক প্রতিষ্ঠান কি জিজ্ঞাসা করেছেন কেউ ।কেন যে যেখানে মানুষ কোন দুজন চারজন 100 জন 200 জন সেখানে কেন সবার অন্ন জোটে না ।কেন সেখানে কাজ জোটে না। (বাকি টা আবার পোস্ট দিবো)




কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

Digital-information-available-here.

  Digital guideline Digital-information আর্টিকালডিজি , ডিজিটাল নির্দেশিকা , আপনার যদি একটি স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ থাকে , তাহলে আপনি ...

Comments system

ArticalDG /News DG একটি সমৃদ্ধ বাংলা ব্লগ যেখানে বিশ্লেষণধর্মী আর শিক্ষামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। প্রযুক্তি, ডিজিটাল গাইডলাইন, ইথিক্যাল হ্যাকিং, ব্যবসা বিশ্লেষণ, প্রেমের গল্প থেকে শুরু করে বর্তমান সমাজ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি নিয়ে সবার জন্য তথ্যভিত্তিক লেখা রয়েছে। লেখক Md. Asadul Islam এর লেখাগুলো সহজ ভাষায় জটিল বিষয়কে স্পষ্ট করে তুলে ধরে। জ্ঞান পিপাসু ছাত্র, পেশাজীবী ও সাধারণ পাঠক এই ব্লগ থেকে পাবেন নতুন ধারণা, অনুপ্রেরণা ও দক্ষতা বৃদ্ধির পথনির্দেশ। নিয়মিত আপডেট হওয়া এই ব্লগ.

Powered By Blogger |   Design By Md Asadul . islam
NEWS-DG