Real story একটি প্রবন্ধ (বাস্তব)

                          Real story very real I wish you read and share this story                  বাস্তব



সাহিত্য মানুষকে নিয়ে চলেছে অজানা এক  দিগন্তে । কখনোই বলতে চাইবোনা কোকিলের ডাকে মন হারানোর  কথা। বলবো না  স্নিগ্ধ বিকেলে মৃদু বাতাসে মন মাতানোর  কথা। বলতে চাইব চরম বাস্তব।

সেদিন 27 শে পৌষ  সন্ধ্যে ছয়টার  সময় কলকাতা টু ডোমকল্ বাস  সাত ঘণ্টার ব্যবধানে গ্রামের  বাসস্ট্যান্ডে নামলাম । গ্রামের  নাম চন্দনপুর তখন  ঘড়িতে ঠিক  একটা বাজে। কেমন  যেন একটা হালকা কান্নার  সুর মোবাইলে অনেক  রকম শুরে গান শুনতে শুনতে যাত্রা শেষ  করলাম  । এ আবার  কেমন শুর এই অর্ধেক রাত্রে একাকী বাসস্ট্যান্ডে দোকানপাট বন্ধ গায়ে কাটা দিয়ে উঠলো ‌। এ আবার  কেমন মৃদু মৃদু কান্নার আওয়াজ। হঠাৎ  চোখে পড়ল  একটি মেয়ে বয়স  ত্রিশ  বত্রিশ  হবে। আস্তে আস্তে কাছে গেলাম ভয় একটু হচ্ছিল  তার শাড়ির অর্ধেকটাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে আর  মাথার চুল গুলো মনে হয়  বছর চারেক চিরুনির মুখ  দেখেনি গায়ে কালচে কালচে দাগ । আতপ চালের মতো ফর্সা দেহে অন্ধকারেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম কে তুমি? কণ্ঠস্বর শুনে বলে উঠলো সেলিম ভাই, বলেই পায়ে লুটিয়ে পড়ল !একি করছো? ব্যাপারটা খুলে বল মোবাইলের লাইট টা দিয়ে তারমানে জ্বালিয়ে তার বাহু দুটি ধরে তুলে দেখি একি এতো আম্বিকা এত অজ্ঞান ,পাশের পাশের ব্রাহ্মণপাড়ায় বাড়ি । আমরা তো একসঙ্গে স্কুলে পড়তাম। ব্যাগের  ভেতর বোতলে জল আছে। অম্বিকার মুখে জল ছিটিয়ে দিতে আবার জ্ঞান ফিরে পেল জিজ্ঞেস করলাম তুমি এখানে এ অবস্থায় কেন? সে বলল আমার আট বছর হলো বিয়ে হয়েছে। আমি বললাম আরে বিয়ে তো প্রত্যেকেরই হয় কিন্তু এ অবস্থায় কেন? অম্বিকা বলল এ 8 বছরে কোন সন্তান হয়নি বলে তাই। সেলিম অর্থাৎ আমি বললাম আরে সন্তান তো উপরওয়ালার দান তাই বলে এইভাবে। অম্বিকা বলে উঠলো সেলিম ভাই ঐসব বাদ দাও ভগবানের লিখন তুমি কি বদলাতে পারবে বল। সেলিম আল্লাহ ভগবান সব এক ঈশ্বর একজন এব্যাপারে তোমাকে আঘাত করা মানে কি নাকে আঘাত করা এদের কি জ্ঞান বুদ্ধি হবে না। অম্বিকা কি তার পিতামহের বাড়ি পৌঁছে দিলাম। অম্বিকার বাবা খুব দরিদ্র নাম উদয় চক্রবর্তী মায়ের নাম নিবেদিতা চক্রবর্তী সেলিম পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারল অম্বিকা কে তার শাশুড়ি জয়া তাকে কাজ বিষ অর্থাৎ ইঁদুর মারা বিষ ভাতের সঙ্গে মিশে খাইয়ে দিয়েছিলো ।এক বছর পর অম্বিকা মারা যায়। একই রকম একই রকম চাপা শুর সেলিমের কানে গুজে কেউ শুনতে পায়না। কিন্তু ঘরে ঘরে বইছে বাতাস এই কান্না এই শুর কবে থামবে এই শুর এই বাতাস কবে ?
কবে?
কবে ?কবে ? কবে?
ইতি মোঃ আসাদুল ইসলাম

Powered by Blogger.