ভারতের ব
র্তমান প্রেক্ষাপট
ইতিহাস জেনে আসি তাহলে আজকের প্রেক্ষাপটটি নিখুঁতভাবে বুঝতে সুবিধা হবে। আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর এর আগমন ঘটে সৌদি আরবের মক্কায়। সময়টা ছিল খুব সূচনীয় বলা হতো অন্ধকার যুগ এ যুগের নিপাত ঘটে এবং শুরু হয়। স্বর্ণযুগের সূচনা, শুরু হয় খেলাফতি আমল। পরে অটোমান সাম্রাজ্য। সূদু্র ভারত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে মুঘল সম্রাজ্য। পরবর্তীতে ইংরেজদের দখলে ২০০ বছর পরাধীন হওয়ার পর দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে ১৯৪৭ সালে প্রায় ৭০ বছর হয়ে গেল। কথা হবে এই ৭০ বছরের আর একটু পিছনে। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জন্মের প্রায় পাঁচশো বছর পূর্বে জন্ম হয় ঈসা আঃ এর।খ্রিস্টানরা জিসাস অথবা সান অফ গড বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। এখান থেকে ইসাই ধর্ম অর্থাৎ খ্রিস্টীয় ধর্ম এর সূচনা হয়। ইনার ওপর অবতীর্ণ হয় ইঞ্জিল কিতাব। সময় ক্রমে মানুষের সহজ এবং সুবিধার্থে এই কিতাবের সংশোধনের নামে পরিবর্তন ঘটানো হয় যা বর্তমানে বাইবেল নামে পরিচিত । চলুন আরো একটু ইতিহাস জেনে আসি। ইনারও ৩০০০ বছর পূর্বে আর একজন নবী হযরত মূসা আলাইহিস সালামের আগমন ঘটে। তৎকালীন রাজাদের বলা হত ফারাও বা ফেরাউন ফেরাউন শব্দের অর্থ রাজা সর্বশেষ ফেরাউনের নাম ছিল রামেসিস। হযরত মুসা আলাই সাল্লাম এর উপর অবতীর্ণ হওয়া কিতাবের নাম তাওরাত। কালক্রমে সংশোধনের নামে এটিকেও পরিবর্তন করা হয় । এখন বর্তমান হিন্দুবাদী অথবা বৈদ্যবাদী অথবা জৈনবাদী সম্ভবত এদের কোন একটি ধর্মগ্রন্থ। (সিওর নয় কিন্তু সম্ভাবনা অনেক বেশি) মুসা আলাই সালাম এর ৪০০ বছর পূর্বে মিশরে আগমন ঘটে হযরত ইউসুফ আঃ এর। ঘটনা এখানে আজকের স্বাধীনতার 70 বছর আর ইউসুফ আঃ এর সেই সভ্যতার সময়। হযরত ইউসুফ আলাইহিস সাল্লামের সময় মিশরে পৌত্তলিকদের এক কথায় ধর্মগুরু পন্ডিতদের রাজ দরবারে প্রাধান্য অত্যাধিক ছিল। এবং সারা মিশর জুড়ে তাদের প্রাধান্য দবদবা চলতো। হযরত ইউসুফ আলাই সাল্লাম এর দ্বারা তাদের ধর্মের নামে জালিয়াতি, ব্যবসা, কুসংস্কার, বন্ধ করে ইসলামিক রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল। হযরত ইউসুফ আলাইহি সালামের পিতার নাম ছিল ইয়াকুব আলাইহিস সালাম। তিনার পিতার নাম ছিল হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এভাবে পিছনে আমরা নবীদের নাম খুঁজে পাই যেমন হযরতের নূহ আলাই সাল্লাম ।হযরত সিস আলাই সাল্লাম। হযরত দাউদ আলাই সাল্লাম। হযরত ইদ্রিস আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আরো পিছনে গেলে হযরত আদম আলাই সাল্লাম পর্যন্ত আমরা খুঁজে পাই। বর্তমান পরিস্থিতির ওপর আলোচনা করতে চাইছি তাই একটু পেছনের ইতিহাস জেনে নিলাম এখন চলুন আমরা যেটুকু জানলাম তাতে হযরত ইউসুফ আঃ এর যে সময়কালীন এবং এখনকার স্বাধীন ভারতের ৭০ বছর একই প্রেক্ষাপট একই পরিস্থিতি উপলব্ধি করছি। এখনো সেই মূর্তিপূজক ধর্মযাজক ধর্মব্যবসায়ী আমরা উপলব্ধি করতে পারছি এবং তাদের দবদবা উপলব্ধি করতে পারছি। এখন আর এস এস বা বজরং দল এদের প্রাধান্যতা আমরা দেখছি। এবং এদের দ্বারা যুব সমাজের পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করতে পারছি। অনেক জায়গায় ময়াবলিংচিং ঘটনার আমরা সাক্ষী। আজকে যে হিন্দুত্ববাদী এত বড় বড় কথা তারা বলে অতীতের এক সময় সতীদাহ, বাল্যবিবাহ, ছুত, ছোট জাতিদের নির্যাতন, এবং দাস-দাসী প্রথা, ব্রাহ্মণ্যবাদী মতবাদ, এই সবের উপর অতিষ্ঠ হয়ে নির্যাতিতরা ইসলাম ধর্মে আশ্রয় নিয়েছে। আজ পুনরায় এদেরকে দাস দাসীতে পরিণত করার জন্য ইসলাম ধর্মকে কলঙ্কিত করার সমস্ত ক্রিয়া-কালাম এমনকি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিজের রাইটার্সরা ভিলেন হিসাবে কোন এক আব্দুল কে বেছে নিচ্ছে। নিছক তাদের মনের তিরস্কার যা ফিল্মের মাধ্যমে শুটিং করে সেই ভিডিও দেখে আনন্দে উৎবলিত হচ্ছে।
সমস্যা যুব সমাজের। কারণ তাদের কাছে যে বার্তা যে মেসেজ তাদের ব্রেনে পুশ করা হচ্ছে সেটি হল ধর্মবিদ্বেষ এবং ইসলাম ধর্মকে কলঙ্কিত করা। এখানে আমার মতবাদ একটাই যুব সমাজ বিভ্রান্ত করা হচ্ছে শিক্ষা থেকে তারা পিছনে সরে যাচ্ছে। রাজনীতির নোংরা খেলায় এরাই সর্বোত্তম হাতিয়ার। কারণ রাস্তাঘাটে মিছিল করতে লোক জমায়েত করতে এবং নাড়াবাজি করতে এদের এই প্রয়োজন শিক্ষিত হলে কখনো এগুলো করত না। আমার যুবক ভাইদের বলছি হিন্দু, মুসলিম, তকমাটা বাদ দিয়ে দেখো তুমি একজন দায়িত্ববান মানুষের সন্তান। তোমার কাঁধে বাবা, মা র, স্ত্রী, স্বজনের, দায়িত্ব তোমার কাধে। তোমার রোজগার প্রয়োজন। মিটিং মিছিল নাড়াবাজি করে তোমার হয়তো এক বেলা এক দিন চলবে সারা বছর সারা জীবন নিজেকে রোজগার করে খেতে হবে সুতরাং রাজনীতির নোংরা খেলায় সাবধানতা অবলম্বন করো