Translate

Education Budget vs Employment

Education to Employment Policy


পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা ভারতবর্ষের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ একটা পিছিয়ে পড়া রাজ্য এ রাজ্যে অবকাঠামো এবং উন্নতির জন্য আমি মনে করি এডুকেশন একমাত্র দায়ী ।

Free Education and Job Guarantee Scheme


কারণ সমাজ শিক্ষিত হলে দেশের উন্নয়ন সর্বক্ষেত্রে সম্ভাব্য এই কারণে পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ শিক্ষা অর্থাৎ এডুকেশন সম্পূর্ণ ফ্রি হলে এবং এডুকেশন কমপ্লিট এর সঙ্গে সঙ্গে চাকরির জন্য জয়েনিং লেটার পাওয়া অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থীর সম্পূর্ণ সফলতা যদি সরকার দিতে পারে, সে ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে বাইরের দেশে অথবা অন্যান্য রাজ্যে কাজের জন্য যাওয়া প্রয়োজন হবে না ।

নিজের জন্মস্থানে স্বনির্ভর হতে পারবে। এটা আমার চিন্তাভাবনা।


পশ্চিমবঙ্গের বিকাশে শিক্ষার ভূমিকাঃ একটি বাস্তববাদী দৃষ্টিকোণ

ভারতবর্ষের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ একসময়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে দেশের অগ্রণী রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় রাজ্যটির আর্থ-সামাজিক অবস্থা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। এই পশ্চাৎপদতার মূল কারণ খুঁজতে গেলে স্পষ্টভাবে একটি বিষয়ই সামনে আসে — শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা ও কর্মসংস্থানের অপ্রতুলতা।

১. শিক্ষা ও অবকাঠামোর সম্পর্ক

একটি দেশের বা রাজ্যের উন্নয়নের মেরুদণ্ড হলো তার শিক্ষা ব্যবস্থা। যদি জনসাধারণ শিক্ষিত হয়, তবে তাদের চিন্তাধারা, দক্ষতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পায়। ফলে তারা অবকাঠামো, প্রযুক্তি, শিল্প, স্বাস্থ্য ও পরিবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলায় এখনো বেসিক শিক্ষার অভাব, উচ্চশিক্ষায় সুযোগ সীমিত এবং মানসম্পন্ন টেকনিক্যাল ও প্রফেশনাল শিক্ষার অবকাঠামো দুর্বল।

২. ফ্রি এডুকেশন ও গ্যারান্টিড চাকরিঃ বাস্তবসম্মত নাকি কল্পনা?

আপনার প্রস্তাবনাটি অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত — যদি সরকার উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ ফ্রি করে এবং শিক্ষা সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি চাকরির গ্যারান্টি (অন্ততপক্ষে একটি সরকারি/প্রাইভেট অফার লেটার) দিতে পারে, তাহলে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ তরুণ বেকার হবে না। তারা বাধ্য হবে না অন্য রাজ্যে বা দেশে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে। বরং নিজের রাজ্যেই থেকে উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।

তবে প্রশ্ন হলো, এটি কতটা বাস্তবসম্মত?

ক) সরকার যদি বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষা দেয়:

এতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সন্তানরাও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে।

ড্রপআউট হার কমবে।

স্কিলড জনবলের সংখ্যা বাড়বে।

খ) শিক্ষা শেষে সরকারি বা প্রাইভেট সেক্টরে অফার লেটার গ্যারান্টি:

এটি কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।

‘Skill Mapping’ এবং ‘Edu-to-Employment’ পলিসির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য কোর্স অনুযায়ী নির্দিষ্ট জব সেক্টর নির্ধারণ করা যায়।

শিল্পতালুক, আইটি হাব, কৃষি প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ ইনকিউবেটরের প্রসার ঘটাতে হবে রাজ্যে।

৩. কর্মসংস্থানের অভাবেই তরুণরা পরিযায়ী শ্রমিক হচ্ছে

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের এক বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী বাধ্য হয়ে কেরালা, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, দিল্লি বা মধ্যপ্রদেশে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেই উচ্চমাধ্যমিক বা স্নাতক পাশ শিক্ষার্থী। নিজ রাজ্যে পর্যাপ্ত চাকরি না থাকায়, তারা কম মজুরির বিনিময়ে অন্যত্র শ্রম দিচ্ছে। এর ফলে রাজ্যের মানবসম্পদ অন্য রাজ্যের উন্নয়নে ব্যবহৃত হচ্ছে — পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে পড়ছে।

৪. সমাধান কী হতে পারে?

✅ বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষা: রাজ্য সরকারকে অবশ্যই ধাপে ধাপে উচ্চশিক্ষা ফ্রি করার দিকে অগ্রসর হতে হবে। প্রথমে সরকারি কলেজে, তারপর সরকারি অনুমোদিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।✅ ক্যারিয়ার ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার: প্রত্যেক জেলায় এমন কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে, যেখানে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে চাকরির জন্য প্রস্তুত করা হবে।✅ সরকারি চাকরির পরিসংখ্যান

পশিল্পভিত্তিক শিক্ষা ও স্টার্টআপ স্কিম:

ড়াশোনার সঙ্গে ব্যবসা শেখার সুযোগ থাকলে বহু তরুণ উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারবে। এতে নিজের চাকরি তো হবেই না, বরং অন্যদেরও চাকরি দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।✅ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেট সেক্টরের মধ্যে সংযোগ তৈরি করে “শিক্ষা + চাকরি” মডেল বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

৫. উপসংহার

পশ্চিমবঙ্গকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, কর্মসংস্থানমুখী এবং জীবনের জন্য প্রয়োগযোগ্য শিক্ষা। সরকার যদি চাইলে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে “ফ্রি হায়ার এডুকেশন + জব গ্যারান্টি” স্কিম বাস্তবায়ন করতে পারে, তবে এটি হতে পারে ভারতের মধ্যে একটি উদাহরণযোগ্য সমাজ পরিবর্তন। আর এই পথেই পশ্চিমবঙ্গের তরুণরা আর “পরিযায়ী শ্রমিক” নয়, হয়ে উঠবে নিজভূমির গর্বিত নির্মাতা।


এই বিশ্লেষণটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং সামাজিক ও প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এখানে আমরা ধাপে ধাপে বিষয়টি বিশ্লেষণ করবো — সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা, বাৎসরিক অবসরপ্রাপ্তির হার, বেতন খরচ, রিটায়ার্ড কর্মীদের জন্য সরকারের সাশ্রয়, এবং সেই টাকায় উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান করা সম্ভব কি না।


🔹 পর্যায় ১: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চাকরিজীবীর পরিসংখ্যান

(তথ্যগুলি সরকারি রিপোর্ট, মিডিয়া রিপোর্ট এবং অনুমানভিত্তিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী সাজানো)


মোট সরকারি চাকরিজীবী (রাজ্য সরকার ও শিক্ষা, পুলিশ, স্বাস্থ্য ইত্যাদি):

আনুমানিক ৮-১০ লাখ (Source: বিভিন্ন RTI, WB Govt Employee Database)


প্রতি বছর রিটায়ার্ড হচ্ছে:

গড়ে ধরলে আনুমানিক ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ জন।


গড় মাসিক বেতন (চাকরির শেষ বছরগুলোতে):

₹৫০,০০০ (অনেকের বেশি, অনেকের কম, আমরা গড় হিসেব নিচ্ছি)


বাৎসরিক রিটায়ার্ডজনিত বেতন সাশ্রয়:

₹৫০,০০০ × ১২ মাস × ৪৫,০০০ = ₹২৭০০ কোটি টাকা প্রতি বছর


🔹 পর্যায় ২: পেনশন খরচ বাদ দিয়ে বেঁচে থাকা পরিমাণ

ধরুন রিটায়ার্ডদের জন্য গড় পেনশন: ₹২৫,০০০

⇒ পেনশন খরচ প্রতি বছর = ₹২৫,০০০ × ১২ × ৪৫,০০০ = ₹১৩৫০ কোটি টাকা


সাশ্রয় = বেতন খরচ – পেনশন খরচ

⇒ ₹২৭০০ কোটি – ₹১৩৫০ কোটি = ₹১৩৫০ কোটি টাকা


🔹 পর্যায় ৩: উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের সহায়তা পরিকল্পনা

ধরুন বর্তমানে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সংস্কৃত, দর্শন, ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব ইত্যাদিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী আছে আনুমানিক ১ লাখ।


প্রতিজনকে মাসিক ₹২০,০০০ দিলে বাৎসরিক খরচ:

₹২০,০০০ × ১২ মাস × ১,০০,০০০ জন = ₹২৪০০ কোটি টাকা


🔹 চূড়ান্ত বিশ্লেষণ ও উপসংহার

সূচক পরিমাণ

বাৎসরিক অবসর সাশ্রয় (পেনশন বাদে) ₹১৩৫০ কোটি

উচ্চশিক্ষা শিক্ষার্থীদের ২০ হাজার করে বেতন খরচ ₹২৪০০ কোটি


🔍 বিশ্লেষণ:

বর্তমান হিসাব অনুযায়ী, রিটায়ার্ড কর্মীদের পেনশন বাদ দিয়ে সাশ্রিত টাকা দিয়ে পুরো ১ লাখ শিক্ষার্থীকে মাসিক ₹২০,০০০ দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ এর জন্য প্রয়োজন ₹২৪০০ কোটি, যেখানে সাশ্রয় হচ্ছে মাত্র ₹১৩৫০ কোটি।


তবে যদি আমরা:


শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫০,০০০ ধরি ⇒ খরচ হবে ₹১২০০ কোটি — সম্ভব


মাসিক ভাতা কমিয়ে ₹১৫,০০০ করি — তাও সম্ভব


রিটায়ার্ডদের মধ্যে যারা পুরো পেনশন পান না, তাদের হিসেব ধরলে সাশ্রয় আরও বেড়ে যেতে পারে


✅ আমার মতামত ও পরামর্শ:

তাদের সঙ্গে যদি লক্ষীর ভান্ডার অথবা যুবশ্রী বা কন্যাশ্রী এর টাকা যুক্ত করা হয় তবে প্রতিবছর এক লক্ষ স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীকে গ্যারান্টি চাকরি দেওয়া সম্ভব হবে। যদিও আমার মূল উদ্দেশ্য লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করা নয় বরং ফ্রি অনুদানের চেয়ে কর্ম বিনিয়োগে রাজ্যের উন্নয়ন এবং বেকারত্ব দূরীকরণ যদি ছাত্র-ছাত্রীদের ছাত্রীর গ্যারান্টি অর্থাৎ ইনকামের গ্যারান্টি থাকে তাহলে অনুদান এর প্রয়োজন কি হবে।



Read more ...

বয়স কি শুধুই সংখ্যা

 

ভূমিকা 

"বয়স" — শব্দটি খুব সাধারণ, কিন্তু এর গভীরতা অসীম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ প্রতিটি মুহূর্তে বয়সের সঙ্গে সহাবস্থান করে। বয়স কখনও সংখ্যা, কখনও অভিজ্ঞতা, আবার কখনও সীমাবদ্ধতা কিংবা সম্ভাবনার নাম। সমাজে বয়স নিয়ে অনেক প্রচলিত ধ্যানধারণা, ভ্রান্ত ধারণা এবং অমূল্য শিক্ষাও রয়েছে। এই প্রবন্ধে আমরা বয়সকে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপক হিসেবে ব্যাখ্যা করবো, তার প্রভাব, বাস্তবতা ও দর্শনকে কেন্দ্র করে।

xxx



বয়স কি শুধুই সংখ্যা?

অনেকেই বলেন, “বয়স তো কেবল একটা সংখ্যা মাত্র।” কিন্তু সত্যিই কি তাই? সংখ্যার বাইরেও বয়স এক ধরনের মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তনের সূচক। ছোটবেলায় বয়সের প্রতিটি বছর মানে এক নতুন ধাপ, এক নতুন অর্জন। ৫ বছর মানে স্কুলে ভর্তি, ১০ মানে লেখাপড়ার গম্ভীরতা, ১৮ মানে প্রাপ্তবয়স্কতা — এসব সংখ্যা শুধু সময় নয়, দায়িত্ব আর চেতনার বহিঃপ্রকাশ।

তবে, প্রায়ই দেখা যায় কেউ ৬০ বছর বয়সে জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু করেন, কেউ আবার ২৫ বছরেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন জীবনের সংগ্রামে। তাহলে বোঝাই যায়, বয়সের সঙ্গে মন ও মস্তিষ্কের সম্পর্কই বেশি গূঢ়। বয়স ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি


  • বয়স এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি

  • আমাদের সমাজে বয়স একটি মানদণ্ড। শিশুদের বলে, "তুমি এখনো ছোট", আর বয়স্কদের উদ্দেশে বলা হয়, "তুমি এখন বিশ্রাম নাও"। অনেক সময় সমাজের এই ধারণাগুলো মানুষকে নিরুৎসাহিত করে। একজন নারী যদি ৪০ বছর বয়সে আবার পড়াশোনা শুরু করেন, তখন অনেকেই প্রশ্ন তোলেন — “এই বয়সে পড়াশোনা!” কিংবা কোনো পুরুষ যদি ৬৫ বছর বয়সে ব্যবসা শুরু করেন, তখনও প্রশ্ন উঠে — “এই বয়সে নতুন কিছু শুরু করা কি ঠিক?”

    এইসব ধ্যানধারণা মানুষের সম্ভাবনাকে সীমিত করে। অথচ সত্যি হলো, প্রতিটি বয়সের আলাদা সৌন্দর্য, আলাদা গুরুত্ব, আর আলাদা শক্তি আছে। সমাজের উচিত বয়স নয়, মনোভাব ও সামর্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়া।
    বয়সের বিভিন্ন ধাপ ও জীবনের রূপান্তর
    ১. শৈশব (০-১২ বছর)

    এই বয়সে মানুষ শেখে কীভাবে হাঁটতে হয়, কথা বলতে হয়, ভালোবাসতে হয়। এই সময়টা নির্ভেজাল আনন্দের, কল্পনার। এখানে বয়স যেন এক কৌতূহলের জানালা।
    . কৈশোর ও তারুণ্য (১৩-৩০ বছর)

    এই সময় জীবনের গতিপথ গড়ে ওঠে। শিক্ষা, প্রেম, বন্ধুত্ব, ভবিষ্যতের স্বপ্ন — সবকিছু নিয়েই তারুণ্য আবর্তিত হয়। এই বয়সে মানুষ ভাবে, সে সবকিছু পারবে। চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পায় না। তবে ভুল সিদ্ধান্তের সুযোগও বেশি থাকে, আর এ থেকেই তৈরি হয় অভিজ্ঞতা।
    ৩. পূর্ণবয়স্ক ও মধ্যবয়স (৩১-৫৫ বছর)

    এই সময় মানুষ দায়িত্বের ভারে নুয়ে পড়ে — চাকরি, পরিবার, সন্তান, সামাজিক অবস্থান। স্বপ্নের জায়গায় বাস্তবতা এসে দাঁড়ায়। অনেকেই ভাবেন, “এটাই জীবন”। কিন্তু এখানেও নতুন করে ভাবার সুযোগ আছে — নিজেকে নতুন করে চিনতে, নতুন গন্তব্য খুঁজে নিতে।
    ৪. বার্ধক্য (৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে)

    এই বয়সে সমাজ মানুষকে একপাশে সরিয়ে রাখতে চায়। অথচ এ সময়টাই মানুষ সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ, স্থির এবং দূরদর্শী হয়। অনেকেই লেখালেখি শুরু করেন, কাউন্সেলিং করেন, সামাজিক কাজে যুক্ত হন। সত্যিকারের প্রজ্ঞা এই বয়সেই ফুটে ওঠে।
    বয়স ও আত্মপরিচয়ের সম্পর্ক

    বয়সের সঙ্গে মানুষের আত্মপরিচয় গড়ে ওঠে। একজন ২৫ বছরের তরুণ ও ৫০ বছরের ব্যক্তি জীবনকে ভিন্ন চোখে দেখেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ নিজের ভুল, ব্যর্থতা, সাফল্য — সবকিছুর ওপর ভিত্তি করে নতুন করে নিজেকে চেনেন। বয়স যত বাড়ে, মানুষ তত বেশি নিজের ভেতরে প্রবেশ করে, আত্মবিশ্লেষণ করে।

     
    বয়স নিয়ে সমাজের ধারণা
    তবে অনেক সময় মানুষ বয়সের কারণে নিজেকে আটকে রাখে। ৩০ পেরোতেই কেউ মনে করে, সে আর গান শিখতে পারবে না। ৫০ পার হলে অনেকে বলেন, “এখন তো আর নতুন করে শুরু করা যাবে না।” কিন্তু এই মনোভাবই মানুষের অগ্রগতির পথে সবচেয়ে বড় বাধা।
    বয়স ও নতুন সূচনাসুতরাং, সমাজ যদি বয়সের পরিবর্তে মানসিক পরিপক্বতা, ইচ্ছাশক্তি ও আগ্রহকে মূল্যায়ন করতো, তবে অনেক মানুষ নিজেদের নতুন করে গড়ে তুলতে পারতেন।

    ইতিহাসে এমন অনেক উদাহরণ আছে যেখানে মানুষ বয়সের ধার ধারেননি।


    কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেনের কর্নেল স্যান্ডার্স প্রথম সফলতা পান ৬৫ বছর বয়সে।


    লিওনার্দো দা ভিঞ্চি তার সবচেয়ে বিখ্যাত চিত্র "মোনালিসা" আঁকেন ৫২ বছর বয়সে।


    ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের সাথী দেবী ৭২ বছর বয়সে সাক্ষর শিখে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

    এই উদাহরণগুলো প্রমাণ করে — বয়স নতুন শুরুতে বাধা নয়, বরং তা হতে পারে নতুন উদ্দীপনার উৎস।
    বয়স ও মৃত্যু: ভয়ের নয়, উপলব্ধির বিষয়

    আমরা অনেক সময় বয়স বাড়াকে মৃত্যু বা ক্ষয়ের সঙ্গে তুলনা করি। অথচ প্রকৃতপক্ষে বয়স হলো বেঁচে থাকার প্রমাণ। যতদিন বয়স বাড়ছে, ততদিন জীবনের সঙ্গে সংযুক্ত আছি। মৃত্যু একটি অনিবার্য সত্য, কিন্তু বয়স সেই পথে চলার মাইলফলক। তাই বয়সকে ভয় না পেয়ে তাকে সম্মান করা উচিত।
    বয়সকে ইতিবাচকভাবে দেখার কিছু পরামর্শ

    ১. নিজেকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করবেন না। প্রত্যেকের জীবন পথ আলাদা।
    ২. প্রতিটি বয়সের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। স্বপ্ন দেখতে ভুলবেন না।
    ৩. নতুন কিছু শিখতে ভয় পাবেন না। শেখার কোনো বয়স নেই।
    ৪. শারীরিক ও মানসিক যত্ন নিন। সুস্থ থাকাই সবচেয়ে বড় অর্জন।
    ৫. বয়স নিয়ে হীনমন্যতা নয়, গর্ব করুন। কারণ এটি জীবনের অভিজ্ঞতা বহন করে।
    উপসংহার

    বয়স কোনো বাঁধা নয়, বরং তা জীবনের রঙিন অধ্যায়। প্রতিটি বয়সের রয়েছে নিজস্ব সৌন্দর্য, শক্তি এবং বার্তা। সমাজের গোঁড়ামি কিংবা সংখ্যার হিসাব ছাপিয়ে, আমাদের উচিত বয়সকে জীবনযাত্রার এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে গ্রহণ করা। আমরা যতটা না জীবনের বয়স বাড়াই, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো — আমরা কিভাবে সেই বয়সটা কাটাচ্ছি।মৃত্যুকে ভয় না পেয়ে, বয়সকে উপলব্ধির একটি উপায় হিসেবে দেখলে জীবন অনেক সহজ, শান্তিপূর্ণ ও পরিপূর্ণ হতে পারে।

    তাই আসুন, বয়সকে নয়, মনকে তরুণ রাখি। বয়সের হিসাব না রেখে, জীবনের প্রতিটি দিনকে অর্থবহ করে তুলি। কারণ, বয়সের গায়ে সোনা-রুপো লেখা নেই, কিন্তু তার ভাঁজে ভাঁজে লেখা থাকে জীবনের অমূল্য অভিজ্ঞতা।য়স কেবল একটি সংখ্যা নয়, বরং তা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতার সমষ্টি। এই প্রবন্ধে জানুন, কীভাবে বয়স হতে পারে নতুন সূচনার 
    অনুপ্রেরণা

    Read more ...

    পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য

     পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য


    🌍 পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য: কুরআনের আলোকে আধুনিক বিজ্ঞান

    আল্লাহ বলেন, "তারা কি চিন্তা করে না?" (সূরা আলে ইমরান: ১৯১)। চিন্তা ও গবেষণা একটি মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আজকের আধুনিক প্রযুক্তি—কম্পিউটার, রকেট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—সবই মানুষের চিন্তার ফল।

    বিগ ব্যাং ও সৃষ্টি

    আমরা যখন কুরআনের আয়াতগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ি, তখন অনেক রহস্যময় তথ্য সামনে আসে, যেগুলো আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে মেলানো যায় আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখা যায়।
    আল্লাহু বলেন বিবেকবানরা চিন্তা করে ।।
    একদিকে আল্লাহু বলেন কোরআন তেলাওয়াত শুনতে শুনতে হাজার হাজার বছর কেটে যাবে।
    আরো বলেন কেয়ামতের মাঠ হাজার হাজার বছর সময়ের হিসাব নিকাশ বিভিন্ন বর্ণনায় ৫০০ বছর হাজার বছর কখনো বলা হয়েছে পরিষদের সাঁকো পার হতে দেড় হাজার বছর অনুরূপভাবে অনেক সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

    এখান থেকে কিছু প্রশ্নের উদ্ভব
    যা আধুনিক বিজ্ঞান এবং জিওগ্রাফি এর বর্ণনায় তারতম্য যা ভারসাম্যহীন। এখন এগুলো মেলানোর পালা।
    /বিজ্ঞান বলে

    💥 বিগ ব্যাং ও সৃষ্টি

    বিজ্ঞান বলে, "বিগ ব্যাং"-এর মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল। বিস্ফোরণের পর ধীরে ধীরে গঠিত হয় গ্রহ-নক্ষত্র।
    কিন্তু কুরআন বলছে:

    “তিনি বললেন, ‘আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী একসাথে ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম।” (সূরা আম্বিয়া: ৩০)

    এই আয়াতটি অনেকটা বিগ ব্যাং তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও, এখানে আল্লাহর ইচ্ছা ও পরিকল্পন স্পষ্ট

    সৃষ্টির শুরুতে শুধু মাত্র পানি ছিল এখান থেকে জমিন এবং আসমান এ. আপন আপন কক্ষপথে চলাচল করে/
    কোরআন একটু ভিন্নতা রাখে কোরআন বলে সমস্ত গ্রহ নক্ষত্র এমনকি সূর্য আপনার ফোন কক্ষপথে বিচরণ করে এখান থেকে চিন্তার বিষয় একটা এসে যায় এবং প্রশ্ন ভেসে ওঠে/তাহলে আল্লাহ যে বলেন আমি পাহাড়কে পেরেকের নাই মাঠের সমতল পর্যন্ত হতে রেখেছি যাতে পৃথিবী নড়াচড়া করতে না পারে।
    অন্যদিকে আরো প্রশ্ন জেগে ওঠে পৃথিবীর বাইরের সময় ও পৃথিবীর মধ্যেকার সময় তাহলে কি এক নয়। হয়তো হতে পারে অন্যান্য বলয় যেখানে গেলে এক মিনিটের সমান পৃথিবীর হাজার হাজার বছর।

    এখান থেকে কিছু প্রশ্নের উদ্ভব
    যা আধুনিক বিজ্ঞান এবং জিওগ্রাফি এর বর্ণনায় তারতম্য যা ভারসাম্যহীন। এখন এগুলো মেলানোর পালা।
    /বিজ্ঞান বলে

    🕰️ সময়ের আপেক্ষিকতা

    কুরআনে একাধিক স্থানে বলা হয়েছে, কেয়ামতের ময়দান হবে সহস্র বছর দীর্ঘ, এবং পরিষদের সাঁকো পার হতে সময় লাগবে দেড় হাজার বছর।

    "তোমাদের একদিন, তোমাদের হিসেব মতে হাজার বছরের সমান।" (সূরা হজ্জ: ৪৭)

    বিজ্ঞানও বলে, মহাকাশের বাইরে বা কৃষ্ণগহ্বরে সময়ের ধারা ভিন্ন। সময়ের এই আপেক্ষিকতা কুরআনের বর্ণনার সঙ্গে মিল খায়।

    🌄 পাহাড় পেরেকের মতো

    আল্লাহ বলেন:

    “আমি পাহাড়কে করেছি পৃথিবীর জন্য পেরেকস্বরূপ।” (সূরা নাবা: ৬-৭)

    আধুনিক ভূতত্ত্বে জানা যায়, টেকটোনিক প্লেটকে স্থিতিশীল রাখতে পাহাড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

    ☀️ সূর্য ও নক্ষত্রের গতি

    বিজ্ঞান বলে সূর্য স্থির, আর গ্রহগুলো তাকে প্রদক্ষিণ করে। কিন্তু কুরআন বলে:

    “সূর্য আপন কক্ষপথে বিচরণ করছে।” (সূরা ইয়াসিন: ৩৮)

    আজকের জ্যোতির্বিজ্ঞানও বলছে, সূর্য গ্যালাক্সির কেন্দ্রীয় কক্ষপথে ঘুরছে।


    📌 উপসংহার

    কুরআন এবং আধুনিক বিজ্ঞান উভয়ই জ্ঞানের আলোকধারা। পার্থক্য তখনই হয় যখন আমরা শুধুমাত্র এক চোখে দেখি। কুরআন আমাদের চিন্তার আহ্বান জানায়, যাতে আমরা গবেষণা করি, যুক্তির সঙ্গে বুঝি এবং স্রষ্টার মহত্ব উপলব্ধি করি।



    Read more ...

    Digital-information-available-here.

     

    Digital guideline

    Digital-information

    আর্টিকালডিজি, ডিজিটাল নির্দেশিকা, আপনার যদি একটি স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ থাকে, তাহলে আপনি "ডিজিটাল মার্কেটিং, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং, ব্লগিং, ফাইভার নেটওয়ার্ক, ফেসবুক মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতো এই রুটগুলি অবলম্বন করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। তারপর এখানে উপলব্ধ বিস্তারিত এবং আরও তথ্যের জন্য যেতে ক্লিক করুন.

    Written by Md. Asadul Islam There have many content for online earning of USA how to earn money online like Facebook marketing blogging freelancing Fiverr processing socialmedia marketing and more same content availableUSA এর অনলাইন উপার্জনের জন্য অনেক সামগ্রী রয়েছে কিভাবে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যায় যেমন ফেসবুক মার্কেটিং ব্লগিং ফ্রিল্যান্সিং Fiverr প্রসেসিং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং আরও একই সামগ্রী উপলব্ধ
    Click to go
    1.          ethical hacking  resource1                            নৈতিক হ্যাকিং সম্পদ
    2.         What is Chat GPT                                                     চ্যাট জিপিটি কি
    3.          What does affiliate marketing actually mean?        অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে            আসলে  কী বোঝায়?
    4.         how to create a blogspot website for free               কিভাবে বিনামূল্যে একটি ব্লগস্পট    ওয়েবসাইট তৈরি করবেন  
    5.         Making Money on Instagram                                    ইনস্টাগ্রামে অর্থ উপার্জন
    6.         Make Money on Facebook 2023                              Facebook 2023 এ অর্থ উপার্জন করুন
    7.         How to use the Canva website for earning              কিভাবে আয়ের জন্য ক্যানভা ওয়েবসাইট ব্যবহার করবেন
    8.         Easy Ways to Make Money                                       অর্থ উপার্জনের সহজ উপায়
    9.         How to earn money online on WhatsApp                 হোয়াটসঅ্যাপে অনলাইনে কীভাবে       অর্থ উপার্জন করবেন
    10.      What is digital rupee                                               ডিজিটাল রুপি কি
    11.      How to earn money online in India for students      শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতে অনলাইনে কীভাবে অর্থ উপার্জন করবেন
    12.      How To Rank My Blog Post-                                     ব্লগ পোস্ট কিভাবে গুগোল রেঙ্ক করে
    13.      Best Business Analytics Courses                                                        সেরা ব্যবসা বিশ্লেষণ কোর্স
    14.      Technology Desk                                                     প্রযুক্তি ডেস্ক
    15.      Digital guideline                                                 /এক ভিডিওতে সম্পূর্ণ এসইও সেটিং.
    16.      Indian education                                                   ভারতীয় শিক্ষা
    17.      Education of West Bengal                                      পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা
    18.      Neighbor                                                                 /প্রতিবেশী
    19.      Bangla Stories in India                 ভারতে বাংলা গল্প
    21.      how to change nation                        কিভাবে জাতি পরিবর্তন করা যায় 
    23.      এসবিআই স্কলারশিপ                                       SBI scholarship
    24.      Bangla Kobita Lyrics                                              বাংলা কবিতা লিরিক্স
    25.      love stories pd                                                     fপ্রেমের গল্প pdf
    26.      Bangla Stories pdf in India                                   ভারতে বাংলা গল্প pdf
    27.      24 Best earning Services Online                       24 সেরা উপার্জন পরিষেবা অনলাইন
    28.      Story Of The Years                                             বছরের গল্প
    29.      একটি সুন্দর জীবনমুখি প্
    20.      How the brain creates behavior                              মস্তিষ্ক কীভাবে আচরণ তৈরি করে
    22.      Best Stories in Bengali                                           বাংলা গল্প

    Read more ...

    Popular Posts

    বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

    Digital-information-available-here.

      Digital guideline Digital-information আর্টিকালডিজি , ডিজিটাল নির্দেশিকা , আপনার যদি একটি স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ থাকে , তাহলে আপনি ...

    Comments system

    Digital guideline

    ArticalDG /News DG একটি সমৃদ্ধ বাংলা ব্লগ যেখানে বিশ্লেষণধর্মী আর শিক্ষামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। প্রযুক্তি, ডিজিটাল গাইডলাইন, ইথিক্যাল হ্যাকিং, ব্যবসা বিশ্লেষণ, প্রেমের গল্প থেকে শুরু করে বর্তমান সমাজ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি নিয়ে সবার জন্য তথ্যভিত্তিক লেখা রয়েছে। লেখক Md. Asadul Islam এর লেখাগুলো সহজ ভাষায় জটিল বিষয়কে স্পষ্ট করে তুলে ধরে। জ্ঞান পিপাসু ছাত্র, পেশাজীবী ও সাধারণ পাঠক এই ব্লগ থেকে পাবেন নতুন ধারণা, অনুপ্রেরণা ও দক্ষতা বৃদ্ধির পথনির্দেশ। নিয়মিত আপডেট হওয়া এই ব্লগ.

    Powered By Blogger |   Design By Md Asadul . islam
    NEWS-DG